ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : হাতের নাগালে বৈদ্যুতিক খুঁটি-তার এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সেবা আশেপাশের বাড়িঘরে বিদ্যুৎ এর লাইট জলছে, ফ্যানের শান্তির ভাসাতে আরামদায়ক জীবন যাপন চোখের সামনে দেখলেও নিজেদের ভাগ্যে এমন সুযোগ একযুগ ধরে অধরাই রয়েছে ইসার উদ্দিন ভূঁইয়া সহ ১০-১২ টি পরিবারের অর্ধশতাধিক বৃদ্ধ থেকে শিশুর জীবনে।
ইসার উদ্দিন ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িযার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন সেমড়া গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে।ইসার উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, এই গ্রামে পৈত্রিক বসতবাড়ি হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে গ্রামের উত্তরে খালি জায়গায় বিগত এক যুগ আগে বসবাসের জন্য বাড়ি নির্মাণ করার পর থেকে বিদ্যুৎ এর ভোগান্তি শুরু হয়েছে। শুরুতে একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে কোন সুরাহা পাইনি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বাধ্য হয়ে দালালের শরণাপন্ন হওয়ার পর থেকে ঘুরছি।
সর্বশেষে উপজেলার বুধন্তী গ্রামের আজগর আলী নামের এক ইলেকট্রিশিয়ানের সাথে ৭০ হাজার টাকা চুক্তি করে ২০ হাজার টাকা দিয়ে দুই বছরের অধিক সময় ধরে ঘুরছি। তিনি আরো জানান, এই গরমে তাঁহার স্ত্রী অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষ কষ্ট সহ্য করতে না পারার কারনে ঢাকায় এক ছেলের বাসায় দিয়ে রেখেছে। দুই পুত্রবধূকে ছোট ছোট নাতি-নাতনি সহ তাদের বাবার বাড়িতে ২-৩ মাস যাবত পাঠিয়ে রেখেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ১০-১২ টি পরিবারের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। তাদের বাড়ির একশো গজ পূর্ব পাশের বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে, দুইশো গজ উত্তর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর লাইন বয়ে গেছে। পশ্চিম ও দক্ষিণে এক-দের শত গজ দুরের বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকলেও মাঝের ১০-১২ টি পরিবার বিদ্যুৎ বিহীন।
স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান আজগর আলী জানান, আমি বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে তাদের সহযোগিতা করবো বলেছি। এবং সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তাদের সহযোগিতা ঠিকমতো না পাওয়ার কারনে দেরি হচ্ছে।
বিজয়নগর সাব জোনাল অফিসের এজিএম প্রশান্ত বিশ্বাস জানান, আমাদের কাছে গ্রাহক নিজে আসলে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করবো।