নিজস্ব প্রতিবেদক : র‌্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৭৬ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার ও ০১ জন গ্রেফতার। 


র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও যে কোন ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জনসাধারণের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 


এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযান করাকালীন সময়ে অদ্য ২৮ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ০০.৩৫ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানাধীন নরসিংপুর ইউপি’র পূর্ব চাইরগাঁও এলাকায় নদীর পাড়ে জনৈক সেলিম আহম্মদের দোকানের পূর্ব পাশে খালি জায়গায় পৌছা মাত্র র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ০২ জন ব্যক্তি সু-কৌশলে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ০১ জনকে ধৃত করা হয়।


ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার হেফাজতে থাকা ০২ টি পাটের বস্তার ভিতরে অবৈধ মাদক-দ্রব্য বিদেশী মদ রয়েছে, মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ০২টি পাটের বস্তার ভিতর থেকে তার নিজ হাতে বাহির করে দেওয়া মতে ৩২৫ বোতল বিদেশী মদসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি- মোঃ রিপন মিয়া (৩০), পিতা- মোঃ লিলু মিয়া, সাং- সোনাপুর, ইউপি- নরসিংপুর, থানা- দোয়ারাবাজার, জেলা- সুনামগঞ্জ।


এছাড়াও অন্য আরেকটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযান করাকালীন সময়ে অদ্য ২৮ জুলাই ২০২৫ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ০২.৫৫ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানাধীন সলুকাবাদ ইউপি’র উত্তর কাপনা এলাকায় আব্দুল হক হুজরের বাড়ীর পাশে পাকা রাস্তার উপর পৌছা মাত্র অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সু-কৌশলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের আশে-পাশে উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে তল্লাশি করে পাকা রাস্তার নীচে খোলা জায়গা থেকে ০৩টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত ২৫১ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। 


পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ খ্রিঃ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের পূর্বক গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত সুনামগঞ্জ জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র‌্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।