ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ , ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হত্যা মামলার মূল আসামী গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন এলাকা হতে গ্রেফতার। 

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৭-০৯ ২০:০৫:৪৮
হত্যা মামলার মূল আসামী গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন এলাকা হতে গ্রেফতার।  হত্যা মামলার মূল আসামী গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন এলাকা হতে গ্রেফতার। 
 


নিজস্ব প্রতিবেদক- র‌্যাব-১৩ এর অভিযানে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার মূল আসামী গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন এলাকা হতে গ্রেফতার। 


'বাংলাদেশ আমার অহংকার'- এই মূল মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে এলিট ফোর্স র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন চাঞ্চল্যকর হত্যা, ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করে আসছে। 


বাদীর দায়েরকৃত এজাহার থেকে জানা যায় যে, ভিকটিম ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন জাজিরায় জনৈক বোরহানগণদের ইটভাটায় শ্রমিক  হিসেবে কাজ করত। ইং-১৩/০৫/২০২৩ তারিখ ইটভাটার সর্দার জনৈক আলম ভিকটিমের স্ত্রীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান যে, তার স্বামী বুড়িগঙ্গা নদীতে গোসল করার জন্য যায় এবং তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভিকটিমের পরিবার খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ জাজিরা গ্রাম সংলগ্ন (বোট ঘাট) নদীর পশ্চিম অংশের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার স্বামী খোকন এর লাশ দেখতে পান।


খবর পেয়ে নারায়নগঞ্জ অঞ্চল, পাগলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করতঃ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের লক্ষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল, নারায়নগঞ্জ প্রেরণ করেন, এবং তৎক্ষনাৎ একটি অপমৃত্য মামলা রুজু করেন। পাগলা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির পর পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডাঃ মোহাম্মদ মফিজুদ্দিন প্রধান (নিপুন), মেডিকেল অফিসার, জেনারেল হাসপাতাল, নারায়নগঞ্জ এই মর্মে মতামত প্রদান করেন শ্বাসরোধ জনিত কারণে ভিকটিমের মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪৩/৮০৪, তারিখ-১৫/০৮/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। 


উক্ত ঘটনায়, জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। 


এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-৩, গাইবান্ধা, র‌্যাব-১৩, রংপুর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী মোঃ সফিউল ইসলাম (৪০), পিতা-মৃত তনছের, মাতা-সখিনা খাতুন, সাং-গোমাট, ডাকঘর-কামারজানি, (বর্তমান সাং-দক্ষিণ শ্রীপুর কেল্লাবাড়ী, ডাকঘর-খিদির) থানা-সুন্দরগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা’কে  ইং ০৮ জুলাই ২০২৫ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ০৭:৪৫ ঘটিকার সময় গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন কামারজানী বাজারস্থ রাফিয়া হোটেল এন্ড সুইটস দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।  


পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



 

 


 


নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ