ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫ , ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৭-০৬ ২৩:৫৩:১৯
পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে জামায়াতের পক্ষে যে অভুতপূর্ব গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তাতে আগামীর বাংলাদেশ হবে জামায়াতের বাংলাদেশ বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

 

তিনি আজ সকালে স্থানীয় অডিটোরিয়ামে উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে ১৯ জুলাই জাতীয় মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউনিট দায়িত্বশীলদের সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফিরোজ আলমের সঞ্চালনায় মুফাসসির বিভাগের সহ-সভাপতি ড. কামরুল হাসান শাহিনের দারসুল কুরআনের মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তরা পশ্চিম জোন সহকারী পরিচালক মাহবুব আলম, ঢাকা-১৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক এবং ৫১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী আরব আলী। উপস্থিত ছিলেন থানা অফিস সম্পাদক জিএম আসলাম, বাইতুলমাল সম্পাদক মশিউর রহমান, থানা কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান, জাহাঙ্গীর শিকদার, ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ ইব্রাহিম খলিল প্রমূখ।

 

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আওয়ামী বাকশালীরা দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলো। পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছিলো দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে। বাকশালীরা জামায়াতকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করে কথিত বিচারের নামে প্রহসন মাধ্যমে শীর্ষনেতাদের একের পর হত্যা করে দেশকে রীতিমত বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিলো। কিন্তু ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও আমাদের শহীদ নেতারা অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথানত করেন নি বরং দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে হাসিমুখে শাহাদাতকে বরণ করে নিয়েছেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ দ্বিতীয় স্বাধীনতা পরবর্তী ৭ দফা দাবিকে সামনে রেখে আমরা ঐতিহাসিক জাতীয় সম্মেলন ডাক দিয়েছি। যা আগামী দিনে ইসলামী শক্তিকে রাষ্টীয় ক্ষমতায় নেওয়া এবং প্রতিবেশীদের জন্য সতর্ক বার্তা। তাই সম্মেলনের দিনে কোন জনশক্তিকে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং দলমত, জাতি-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষকে দাওয়াত দিয়ে সম্মেলনে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি জাতীয় সম্মেলন সফল করতে ইউনিট দায়িত্বশীল সহ সকল শ্রেণির জনশক্তিকে সর্বশক্তি নিয়োগ করার আহবান জানান।

 

তিনি বলেন, আমরা ৭ দফার মধ্যে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দাবি করেছি। দেশে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জাতীয় সংসদে সকল শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে নতুন করে ফ্যাসীবাদের উত্থান ঘটবে না। নির্বাচনী অপরাধ ও সহিংসতা কমে আসবে। মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। জনগণ নিজেদের ভোট নির্বিঘ্নে সুযোগ পাবেন। কিন্তু একটি পক্ষ এ সুন্দর ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বিরোধীতা করছে। তারা ভাবছে এ পদ্ধতি নির্বাচন হলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না বরং জামায়াতই সে নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। তাই তারা এ প্রস্তাবের সাথে একমত হতে পারছেন না। কিন্তু এদেশের আত্মসচেতন জনতা পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্যকোন নির্বাচনী পদ্ধতি মেনে নেবে না। তিনি পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

 

সম্মেলনে আশুরা গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়েও আলোচনা এবং জুলাই আগষ্টের শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।
সম্মেলন শেষে বিশাল প্রচার মিছিল উত্তরার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

শোকবাণী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য, ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার ও বর্ষীয়ান জননেতা মাওলানা রফি উদ্দিনের আহমেদের মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

 

এক যৌথ শোকবাণীতে মহানগরী নেতৃদ্বয় বলেন, মরহুম মাওলানা রফি উদ্দিন আহমেদ ছিলেন ইসলামী আন্দোলনে কিংবদন্তী ও আপেষহীন সিপাহসালার। তিনি জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে নিজেকে একজন কালজয়ী দাঈ ইলাল্লাহ হিসাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি কুরআন- সুন্নাহর আদর্শের ভিত্তিতে দেশেকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখতেন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সে লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। সর্বোপরি তিনি তাঁর জীবনের বিপুল অভিজ্ঞতা দিয়ে সংগঠনের কঠিন সময়ে নিরলসভাবে সহযোগিতা করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা ইসলামী আন্দোলনের এক অকুতোভয় রাহবারকে হারালাম।

 

নেতৃদ্বয় মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে তাকে জান্নাতের আ’লা মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেন। তাঁরা তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্য এবং সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং সকলের জন্য সবরে জামিল ধারণের তাওফিক কামনা করেন।

 


নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ