রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর : রংপুরে বদরগঞ্জে পাটের উন্নয়ন উপর এক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে সন্মানী ভাতা পেলেন না প্রকৃত তিন পাট চাষী। রবিবার ২৯ জুন উপজেলার পাট উন্নয়ন কর্মকতার কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। এতে অংশ গ্রহন করেন, বিভিন্ন পাটচাষী ও সাংবাদিক বৃন্দ।
সন্মানী ভাতা থেকে বঞ্চিত তিন পাট চাষী হলেন, উপজেলা কালুপাড়ার ইউনিয়ন গ্যাদাশীকারীর পাড়া গ্রামের এরশাদুল হক, একই ইউনিয়নের গনির পাড়া গ্রামের আবেদ আলী, ও জামুবাড়ি উন্তাপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলী। সাংবাদিককের কাছে এরশাদুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আজকের পাট প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণ কারীর মধ্যে অনেকেই পাট চাষীর সঙ্গে জড়িত নয়। কিন্তু তারা সবাই সন্মানী পেলেন। কিন্তু আমরা অংশগ্রহণ করে এবং সেখানে উপস্থিত সাক্ষর করেও কোন সন্মানী পেলাম না। তিনি আরো বলেন, এখানে একজন কর্মকতা নাম মাহবুব আলী। তিনি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরেক পাট চাষী তৈয়ব আলী বলেন, আমরা কঠিন রোদের মধ্যে কষ্ট করে জমিতে পাট চাষ করি। আর আমাদের পাট প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে কোন সন্মানী পাইনা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, পাট প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ মধ্যে অনেকে পাট চাষী নয় তারপরও তারা সন্মানী পেয়েছেন। আমি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কাছে জানতে চাই, পাট প্রশিক্ষণে কতজন চাষী উপস্থিত থাকবে। আর প্রশিক্ষনে কি পরিমান অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি জানাই।
কালুপাড়ার ইউনিয়ন গনির পাড়া গ্রামের আবেদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাট চাষীদের প্রশিক্ষণ কথা শুনে সকাল ৮ টা থেকে অফিসে সামনে বসে আছি। কিম্তু অনেক পরে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। সেখানে প্রায় দুই তিন ঘন্টা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করি। উপস্থিতি স্বাক্ষরও করি। কিন্তু আমাকে কোন সম্মানই দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, এখানে প্রশিক্ষণের নামে পাট কর্মকর্তারা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আমাদের তিনজনের প্রশিক্ষণের অর্থ তাদের পকেটে ঢুকেছে। আমরা বিষয়টি ইউএনও স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এবিষয়ে দুপুরে উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকতা অফিসে গেলে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। মুঠোফোনে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা চিত্তরঞ্জন রায়ের মুঠোফোন একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এবিষয়ে জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকতা মাহবুব আলী বলেন, আমি আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক সঙ্গে জড়িত এটা কেউ বলতে পারবে না।এটা আমার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ। তিনি আরো বলেন, আমার জানামতে দু'জন পাট চাষী প্রশিক্ষণের সময় ছিলেন। যখন প্রশিক্ষণ শেষ হয় তখন সন্মানী দেওয়ার সময় তারা উপস্থিত ছিলেন না।এক প্রশ্নের জবাবে তারা কোথায় ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন হয়তবা বাইরে চা খেতে গিয়েছিলেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।