ঢাকা , সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ , ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরীয়তপুর জাজিরা প্রবাসী স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৬-১৫ ২০:৪২:০৫
শরীয়তপুর জাজিরা প্রবাসী স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ। শরীয়তপুর জাজিরা প্রবাসী স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ।


মোঃ ওবায়েদুর রহমান সাইদ শরীয়তপুর প্রতিনিধি। শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষন ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শালিস, পরে রক্তক্ষয়ী হামলায় একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে।


গত কাল ১৪ জুন শনিবার ২০২৫ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের কাথুরিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেল দেওয়ানের স্ত্রী এমিলি আক্তারের উপর যৌন নিপীড়ন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মতি খাঁ (৩৮), পিতা মৃত হাজি রশিদ খাঁর বিরুদ্ধে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ১৩ জুন বিকেলে স্থানীয় ব্যক্তিদের নেতৃত্বে একটি শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়।


শালিসে অভিযুক্ত মতি খাঁর কথাবার্তায় ক্ষুব্ধ হয়ে এমিলির ভাসুর লালন দেওয়ান (পিতা: গিয়াসউদ্দিন দেওয়ান) তাকে কাচি ও ঘুষি দিয়ে আঘাত করেন। এতে শালিস ভেঙে যায় এবং দুই পক্ষকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্ত মতি খাঁর নেতৃত্বে ইমদাদ, কালু (পিতা: মোসলেম ফকির) সহ মোটরসাইকেলযোগে ১০-১২ জনের একটি দল গিয়াসউদ্দিন দেওয়ানের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা রামদা ও চাপাতি দিয়ে লালন এবং তার ভাই মিলনকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।


স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। লালনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ঘটনার পর সাংবাদিকরা মতি খাঁর বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।


পরে মতি খাঁর বড় ভাই লতিফ খাঁর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেন, তবে জমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং শালিসের কথা স্বীকার করেন। এলাকার সাধারণ মানুষ জানিয়েছে, তারা বিষয়টির কথা শুনেছে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।


পালেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফরাজি বলেন, "আমি আমার এলাকার মানুষজনের মুখে বিষয়টি শুনেছি এবং খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।"


এ বিষয়ে জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইনুল ইসলাম জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি, মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


এই ধরনের মামলায় কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনায় নারীরা একদিকে যেমন শিকার হচ্ছেন যৌন নিপীড়নের, অন্যদিকে বিচার চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি শুধু আইনশৃঙ্খলার নয়, সামাজিক নিরাপত্তারও প্রশ্ন।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ